বিষধর সাপের তালিকা PDF
বিষধর সাপের তালিকা
বিষধর সাপের তালিকা |
WBPDF
নমস্কার বন্ধুরা :-
আজ Wbpdf.in আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে বিষধর সাপের তালিকা PDF, যেখানে ভারত তথা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিষাক্ত ও সবচেয়ে ভয়ঙ্কর সাপ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ধারণা দেওয়া হয়েছে, এই তালিকার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারত ও পৃথিবীর বিভিন্ন বিষাক্ত সাপ যেমন চন্দ্রবোড়া, ইন্ডিয়ান কোবরা, আমেরিকান কোবরা, গোমা সাপ, রেটেল স্নেক, ডেথ এডার, রাসেল ভাইপার প্রভৃতি সাপের অবস্থান কোথায় এবং এই সমস্ত সাপ কিভাবে নিজেদের আত্মরক্ষা করে সেই সমস্ত তথ্য অতি সংক্ষেপে আলোচনা করা হয়েছে, এই সম্পূর্ণ বিস্তারিত আলোচনা বিবরণ শুধুমাত্র আপনাদের সুবিধার্থে Wbpdf.in আপনাদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে PDF আকারে প্রদান করছে যাতে আপনারা যে কোন চাকরির প্রস্তুতি খুব সহজেই অনলাইনে নিতে পারেন তাই অবশ্যই Wbpdf.in এর সঙ্গে যুক্ত থাকুন আমাদের উৎসাহিত করুন আরো নতুন নতুন এ ধরনের জেনারেল নলেজ এবং স্টাডি মেটেরিয়ালস যাতে আপনাদের দিতে পারি এবং ফলো রাখুন প্রতি পদক্ষেপে Wbpdf.in
বিষধর সাপের তালিকা
ব্ল্যাক মামবা
আফ্রিকার বিষাক্ত ভয়ঙ্কর সাপের মধ্যে ব্ল্যাক মাম্বার প্রথম স্থান অধিকার করেছে । এরা দেখতে প্রধানত কালো রঙের হয় । এই সাপ খুব দ্রুতগামী । এই সাপের গতিবেগ প্রায় ঘন্টায় কুড়ি কিলোমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে । যে মানুষকে একবার টার্গেট করে তাকে ছোবল দেবেই, বেচেঁ ফিরে আসার সম্ভাবনা খুবই কম ।একই সারিতে ১২বারের বেশি কামড়ে দেয় এরা । এদের প্রতিটি কামড়ে ১০০-১২০ গ্রাম বিষ বের হয় যা ১০-২৫ জন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের মৃত্যুর জন্য যথেষ্ট। মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যেই মানুষের মৃত্যু হয় ।
র্যাটেল স্নেক
এটি উত্তর আমেররিকার সব থেকে বিষধর সাপ। এদের লেজে ঝুনঝুনির মত বিশেষ অঙ্গ থাকে, যার সাহায্যে তারা শব্দ করতে পারে। এরা শরীরের দুই-তৃতীয়াংশ অংশ লাফিয়ে আক্রমণ করে। এই সাপের কামড়ে শিশুদের দ্রুত মৃত্যু হয়। এই সাপের বিষ টিস্যু নষ্ট করে ফেলে রক্ত জমাট বেঁধে যায়, ফলে এর রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়ায়
ব্যাঘাত
ঘটে। এই সাপ কামড়ালে পরপ্যারালাইসিস, শ্বাসকষ্ট, বমি, রক্ত বমি, চেতনাহীন হয়ে পড়া ইত্যাদি লক্ষণ দেখা যায় ।
টাইগার স্নেক
বিষাক্ত সাপের মধ্যে টাইগার স্নেক হলো অন্যতম । এই সাপ কামড়ানোর পর ৩০ মিনিটের মধ্যেই মানুষের মৃত্যু হয় । কামড়ের মৃত্যুর হার ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ । এরা প্রধানত শান্ত প্রকৃতির হয়, তবে একবার ক্ষেপে গেলে আক্রমণ করে । টাইগার স্নেকের নিশানা কখনো মিস হয় না ।
ডেথ এডার
বিষধর সাপের তালিকায় এই সাপটি পৃথিবীতে নবম স্থান অধিকার করেছে ।অস্ট্রেলিয়া এবং নিউগিনিতে এই সাপ দেখতে পাওয়া যায়। ডেথ এডার মূলত অন্য সাপকে তাড়া করে কামড়ে থাকে এবং
খেয়ে
ফেলে।এই সাপ এক কামড়ে প্রায় ৪০ থেকে ১০০ মিলিগ্রাম
এর
মতো
বিষ
বের করতে পারে । এই সাপের কামড়ে শ্বাস কষ্ট ও প্যারালাইসিস দেখা দেয়। কামড়ানোর পর ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ব্যক্তির মৃত্যু হয় এবং এই সাপ খুব দ্রুত বিষ উৎপাদন করতে পারে ।
রাসেল ভাইপার
এই ধরনের সাপ মূলত মধ্য এশিয়ার ভারত, চীন এবং পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে দেখতে পাওয়া যায় । এরা খুব দ্রুত আক্রমণ করে এবং প্রধানত রাত্রেবেলা বের হতে দেখা যায় ।ভাইপারসে কামড়ালে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। এই সাপ কামড়ালে সবথেকে বেশি প্রভাব পড়ে হৃদযন্ত্রে ।শ্বাসকষ্টের সঙ্গে প্যারালাইসিস দেখা যায় এবং হৃদস্পন্দন আস্তে আস্তে বন্ধ হতে থাকে। রক্ত জমাট বেঁধে ক্রিয়া বন্ধ হয়ে গেলে রুগী মারা যায় । এই সাপ কামড়ালে শরীরের উপর থেকেই বোঝা যায় যে রক্ত জমাট বাঁধছে ।
বেলচারস সী স্নেক
সরীসৃপ প্রজাতির মধ্যে সবচেয়ে বিষাক্ত সাপ হল এটি । অস্ট্রেলিয়ার উত্তর উপকূল এবং দক্ষিণ এশিয়ার উপকূলের সাগরের জলে এদের দেখা পাওয়া যায়। এই সাপের এক কামড়ে প্রায় ১০০০ পূর্ণবয়স্ক মানুষের মৃত্যু সম্ভব। এরা প্রধানত জলের নিচে বাস করে । জলের নীচে প্রায় ৭৫ ঘন্টা দমবন্ধ করে থাকতে পারে ।
ফিলিপাইনন্স কোবরা
পৃথিবীর বিষাক্ত সাপের মধ্যে কোবরা সাপ অন্যতম। কেউটে সাপ বিভিন্ন প্রজাতির হয়। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ফিলিপাইনস কোবরা । এর বিষ সাংঘাতিক। এই প্রজাতির সাপ গুলো প্রধানত তিন মিটার দূর থেকে বিষ ছুড়ে মারতে পারে । এই সাপ কামড়ানোর ৪০ থেকে ৪৫ মিনিটের মধ্যেই মৃত্যু হয় ।কামড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে শরীর অবশ, বমি, মেরুদণ্ডে ব্যথা,মাথা ঘোরানো, পাতলা পায়খানাসহ
নানা
ধরনের
উপসর্গ
দেখা
দেয়।
ইনল্যান্ড টাইপান
এই ধরনের সাপ প্রধানত অস্ট্রেলিয়ায় দেখতে পাওয়া যায় । বিশ্বের কার্য ক্ষমতার দিক থেকে এই সাপ দ্বিতীয় ।এদেরকে ক্ষুদ্র সাপও বলা হয়ে থাকে । এই সাপের বিষে অনায়াসে শতাধিক পূর্ণবয়স্ক মানুষের মৃত্যু ঘটে । এই সাপ দংশনের সময় থেকে মাত্র ৪০ থেকে ৫০ মিনিটের মধ্যেই মানুষের মৃত্যু হয় । এই সাপের আরেক বৈশিষ্ট্য হলো এরা রং বদলাতে পারে । এরা গ্রীষ্মকালে জলপাই রং এবং শীতকালে ধূসর রঙে পরিণত হতে পারে । এরা ক্ষিপ্ত আক্রমণাত্মক নয়, তবে এদের কেউ আঘাত করলে তবেই দংশন করে । এদের বিষ কেউটে সাপের থেকে ১৫ গুণ বেশি শক্তিশালী হয় ।
টাইপান
এই সাপ প্রধানত অস্ট্রেলিয়ায় দেখতে পাওয়া যায় । এই সাপের বিষে প্রায় ২০০ জন মানুষ কে মারার মতো যথেষ্ট বিষ থাকে । রক্ত জমাট বেঁধে রক্তনালী বন্ধ হয়ে যায় । সাপের কামড়ে মানুষের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম।
ব্লু ক্রিট
ইন্দোনেশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়ার কিছু অংশে
এই দেখতে পাওয়া যায় এই সাপ নিজের প্রজাতির সাপ কে শিরকার করে । এই প্রজাতির সাপ প্রধানত
অন্ধকারেই বার হয় ।এই সাপ
নিজেদের প্রজাতিকে খেয়ে ফেলে।
এই সাপের কামড়ে মানুষের
মৃত্যুর হার ৮৫ শতাংশ। এই
সাপ কামড়ালে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই
কম
আপনাদের সুবিধার্থে নিচে সম্পূর্ণ PDFটি দেওয়া হলো
File Name: বিষধর সাপের তালিকা
File Size: 859 Kb
File Formate: Pdf
File Page: 4
Download Pdf: Click To Download
More Pdf | Download Link |
বিভিন্ন পদার্থের গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক PDF | Click Here |
জাতীয় পরীক্ষাগার সমূহের তালিকা PDF | Click Here |